আজকে আমরা জানবো জীববিজ্ঞানের শাখা কয়টি ও কি কি । আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেল এ জীববিজ্ঞানের শাখা কয়টি এবং কি কি এই সম্পর্কীয় যাবতীয় ধারনা দেওয়ার চেষ্টা করবো এবং লক্ষ্য রাখবো যাতে আপনারা উপকৃত হোন। তো চলুন শুরু করা যাক।
আমরা জানি যে জীববিজ্ঞান বিজ্ঞানের ই একটি অংশ।
জীববিজ্ঞান কি
বিজ্ঞানের যে শাখায় জীব ও জীবন সংক্রান্ত গবেষণা করা হয়ে থাকে তাকে জীববিজ্ঞান বলা হয় । জীববিজ্ঞানের ইংরেজি প্রতিশব্দ বায়োলজি (Biology) । শব্দটি গ্রিক bios (জীবন) এবং logos(বিজ্ঞান) শব্দ-দু’টির সমন্বয়ে গঠিত। জীববিজ্ঞান বেশ প্রাচীন বিজ্ঞান।
জীববিজ্ঞানের শাখা কয়টি ও কি কি?
জীববিজ্ঞানের শাখা মূলত ২ টি।যথা-
১. ভৌত জীববিজ্ঞান
২. ফলিত জীববিজ্ঞান
নিষেক কি? নিষেকের গুরুত্ব ও তাৎপর্য কি?
ভৌত জীববিজ্ঞানের শাখা
১. অঙ্গসংস্থানবিদ্যা (morphology)- এতে জীবের দৈহিক গঠন নিয়ে আলোচনা করা হয়। জীবদেহের বাহ্যিক বিষয়কে বহিঃঅঙ্গসংস্থান এবং অভ্যন্তরীন বিষয়কে অন্তঃঅঙ্গসংস্থান বিদ্যা বলে।
২. শ্রেনীবিন্যাসবিদ্যা(Taxonomy)- এতে বিভিন্ন জীবের প্রকারভেদ নিয়ে আলোচনা করা হয়।
৩. শরীরবিদ্যা( physiology) – জীবের শরীরের ভিতরের বিভিন্ন প্রকারভেদ নিয়ে আলোচনা করা হয়৷
৪. কলাবিদ্যা (histology) – জীবদেহে থাকা বিভিন্ন কলা বা টিস্যু নিয়ে আলোচনা করা হয়।
৫. ভ্রুনবিদ্যা(embryology) – জনন কোষ, জাইগোট, ভ্রুন ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করা হয়।
৬. কোষবিদ্যা(cytology)- জীবকোষের গঠন,কাজ এবং বিভাজন নিয়ে আলোচনা করা হয়।
৭. বংশগতিবিদ্যা(genetics)- জীবের বংশগতি এবং জিন নিয়ে আলোচনা করা হয়।
৮. বিবর্তনবিদ্যা(evolution) – এখানে দীর্ঘ সময় ধরে আগত প্রানীগোষ্ঠী কিভাবে পরিবর্তিত হয় তা আলোচনা করা হয়৷
৯. বাস্তুবিদ্যা ( ecology)- পরিবেশের সাথে জীবের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা।
১০. এন্ডোকাইনোলজি( endocrinology)- জীবদেহে থাকা হরমোন নিয়ে আলোচনা করা হয়।
ফলিত জীববিজ্ঞানের শাখাগুলো
ফলিত শাখায় মূলত ভৌত শাখা কে আরো বেশি বিস্তৃত করে মানুষের কল্যানে নতুন একটি শাখা গঠন করা হয়। যেমন-
১. জীবাশ্মবিজ্ঞান( paleontology) – প্রাচীন কালে পৃথিবীতে বসবাসকারী প্রাগৈতিহাসিক জীব এবং তাদের জীবাশ্ম নিয়ে আলোচনা করা হয়।
২. জীব পরিসংখ্যানবিদ্যা(biostatistics) – বিভিন্ন জীবের সংখ্যা এবং হিসাব নিয়ে আলোচনা করা হয় এই বিদ্যায়।
৩. পরজীবীবিদ্যা(parasitology) – যেসব জীব অন্য জীবের উপর নির্ভর করে বেঁচে থাকে তাদের নিয়ে আলোচনা করা হয়৷
৪. মৎসবিজ্ঞান(Fisheries)- বিভিন্ন ধরনের মাছ এবং মাছের জীবন নিয়ে আলোচনা করা হয়৷
৫. কীটতত্ত্ব ( Entomology)- কীট পতঙ্গের জীবন নিয়ে আলোচনা করা হয়৷
৬. অনুজীববিজ্ঞান( microbiology)- ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস সহ বিভিন্ন অনুজীব এবং এর বংশবিস্তার নিয়ে আলোচনা করা হয়৷
৮. কৃষিবিজ্ঞান( agriculture) – কৃষি কাজের সাথে সম্পর্কিত বিজ্ঞান নিয়ে আলোচনা করা হয়।
৯.জীনপ্রযুক্তি(genetic Engineering)- উদ্ভিদ ও প্রানীদেহে থাকা জিন নিয়ে বিস্তর আলোচনা করা হয়।
১০. জীবপ্রযুক্তি ( Biotechnology) – মানুষ ও পরিবেশের কল্যানে জীবের ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করা হয়৷
১১. বনবিজ্ঞান( Forestry)- বন ও বনের পরিবেশ নিয়ে আলোচনা করা হয়।
আজ এই পর্যন্তই থাকলো। আশা করছি আপনারা জীববিজ্ঞানের শাখা সমূহ সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা পেয়েছেন। ধন্যবাদ।