সংখ্যা পদ্ধতি কি? সংখ্যা পদ্ধতির ভিত্তি ও প্রকারভেদ গুলো কি কি?

আজকে আমরা আমাদের এই আর্টিকেলটিতে আপনাদের- সংখ্যা পদ্ধতি কি এবং সংখ্যা পদ্ধতির ভিত্তি ও প্রকারভেদ নিয়ে অবগত করার চেষ্টা করবো। তো চলুন শুরু করা যাক।

প্রাচীনকাল থেকে মানুষ তাদের প্রয়োজনের তাগিদে হিসাব-নিকাশ করার জন্য প্রথমদিকে, হাতের আঙুল   এরপর, পাথর, নুড়ি, বাকল, দড়ি, দাগকাটা, ও পাতায় লিখে কোনমতে গননার কাজ সারতো। 

তারপর কালক্রমে মানুষ চিত্রভিত্তিক, বর্ণভিত্তিক এবং অংক বা প্রতিকের মাধ্যমে গানিতিক হিসেবের কাজ করে। আর এখন আধুনিককালে ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রের মাধ্যমে  গণনার কাজের প্রয়োজনে  বিভিন্ন সংখ্যা পদ্ধতির উদ্ভব হয়।

নিম্মে সংখ্যা পদ্ধতি কি ও বিভিন্ন সংখ্যা পদ্ধতি সম্পর্কে বিশদ বর্ণনা করা হলো-

সংখ্যা পদ্ধতি কি?

বিভিন্ন সাংকেতিক চিহ্ন বা মৌলিক চিহ্ন বা অঙ্ক (ডিজিট) ব্যবহার করার মাধ্যমে  সংখ্যা লিখা ও প্রকাশ করার পদ্ধতিকে সংখ্যা পদ্ধতি বলে। এর সাহায্যে সহজেই সংখ্যা গণনা করা ও প্রকাশ করা সম্ভব হয়।

সংখ্যা তৈরির ক্ষুদ্রতম একক হচ্ছে অঙ্ক, যেমন ১, ২, ৩। দৈনিন্দিন কাজে আমরা সাধারণত দশমিক সংখ্যা ব্যবহার করি  কিন্তু বর্তমানে কিছু মেশিনভিত্তিক সংখ্যাও ব্যবহার করা হয়। যথা- বাইনারি, অক্টাল, এবং হেক্সাডেসিমল।

প্রকৃতপক্ষে সংখ্যা পদ্ধতি হলো সংখ্যা প্রকাশের একটি নির্দিষ্ট নিয়ম বা নীতি যাতে নিম্নের বিষয়গুলো থাকা প্রয়োজন–

১। সংখ্যাকে নির্দিষ্ট প্রতীকের সাহায্যে প্রকাশ করার সুনির্দিষ্ট নিয়মাবলী।

২। সংখ্যার যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ ইত্যাদি নির্ণয় করার সুনির্দিষ্ট নিয়মাবলি থাকতে হবে।

৩। সংখ্যার বিভিন্ন রূপ যেমন ভগ্নাংশ, ধনাত্মক, ঋণাত্বক ইত্যাদি প্রকাশের সুনির্দিষ্ট বা পরিপূর্ণ নিয়মাবলি থাকতে হবে।

সংখ্যা পদ্ধতি এর ভিত্তি কি

সংখ্যা পদ্ধতিতে একটি সংখ্যা বুঝানোর জন্য সর্বমোট যতগুলো অঙ্ক ব্যবহার করা হয় সেটি হচ্ছে সংখ্যাটির ভিত্তি।

অর্থাৎ কোন সংখ্যা পদ্ধতির ভিত্তি বলতে ঐ সংখ্যা পদ্ধতিতে ব্যবহৃত মোট অঙ্ক বা প্রতীক সমূহের সংখ্যাকেই বুঝানো হয়।

নিম্নে বিভিন্ন প্রকার সংখ্যা পদ্ধতির নাম ও ভিত্তি বা বেস এবং এর প্রতীক দেখানো হলো-

রোমান সংখ্যা ১-১০০ পর্যন্ত ।রোমান সংখ্যার বিস্তারিত

সংখ্যা পদ্ধতির প্রকারভেদ

উপস্থাপনের ভংগিমা বা প্রকাশের পদ্ধতির উপর ভিত্তি করে সংখ্যা পদ্ধতি ২ প্রকার।যথা:

১। পজিশনাল বা অবস্থানগত সংখ্যা পদ্ধতি

২। নন পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি

১। পজিশনাল বা অবস্থানগত সংখ্যা পদ্ধতি কি: 

এই পদ্ধতিতে একটি সংখ্যা যে প্রতীকগুলো দিয়ে প্রকাশ করা হয় সেই প্রতীকগুলোর সংখ্যার অবস্থানের উপর ভিত্তি করে সংখ্যার মান কম বা বেশি হতে পারে। যেমন – দশমিক সংংখ্যা পদ্ধতি।

এছাড়াও পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতিকে আবার ৪ ভাগে ভাগ করা যায় –

দশমিক বা ডেসিমাল সংখ্যা পদ্ধতি

বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি

অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতি

হেক্সাডেসিমাল সংখ্যা পদ্ধতি

২। নন পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি কি:

এই পদ্ধতিতে প্রতিটি চিহ্ন বা অংকের কোনো স্থানিক মান নেই। এই পদ্ধতিটি পূর্বে ব্যবহার করা হতো। বর্তমানে এটির প্রচলন প্রায় নেই বললেই চলে। যেমনঃ রোমান, মেয়্যান, ট্যালি ও হায়ারোগ্লিফিক্স সংখ্যা পদ্ধতি।

আজ এখানেই শেষ করছি। আজ আমরা আপনাদের সংখ্যা পদ্ধতি কি? এর ভিত্তি ও প্রকারভেদ গুলো কি কি এই নিয়ে বিস্তারিত ধারনা দেওয়ার চেষ্টা করেছি৷

ভালো লেগে থাকলে আপনার বন্ধু বান্ধবীদের সাথে শেয়ার করে পাশেই থাকবেন। ধন্যবাদ।

About Atiq Shahriar

Check Also

জীববিজ্ঞানের শাখা

জীববিজ্ঞানের শাখা কয়টি ও কি কি?

আজকে আমরা জানবো জীববিজ্ঞানের শাখা কয়টি ও কি কি । আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেল এ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *